আপনারা অনেকেই মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে তা জানেন না আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। তাই আজ মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালেয়শিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। ভিসা ছাড়া কোন দেশেই প্রবেশ করা সম্ভব না। মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে? কেননা ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। এই ভিসা প্রত্যেককেই টাকা খরচ করে বানাতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে যে দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমিক নেওয়ার অবৈধ সিন্ডিকেট আছে এইটাকে বন্ধ করার জন্য তৎকালীন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বিগত তিন চার বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে লোক দেওয়া পুরোপুরি ভাবে বন্ধ রেখে ছিলেন। মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে? কিন্তু আবারো নতুন ভাবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মালয়েশিয়ার ভিসা খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সময়ে এই ভিসা চালু আছে।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। তাই ভিসাভেদে এইসকল ভিসার দামও বিভিন্ন হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে মালয়েশিয়া যেতে হলে বেসরকারিভাবে একটি ভিসার দাম ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা। তবে আপনারা যদি কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে সেক্ষেত্রে এইসকল ভিসার দাম বাবদ খরচ অনেকটা বেশি হতে পারবে। নিচে মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত তা নিচে দেওয়া হলো-
- মালয়েশিয়া কাজের ভিসার দাম ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
- মালয়েশিয়া মেডিকেল ভিসার দাম ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
- মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসার দাম ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
- মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসার দাম ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা।
- মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
- মালয়েশিয়া কৃষি ভিসার দাম ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
মালয়েশিয়ায় যেতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন
নিচে মালয়েশিয়ায় যেতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন তা দেওয়া হলো-
- ন্যূনতম ১৮ মাস মেয়াদী একটি পাসপোর্ট।
- স্টুডেন্ট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৩ বছর বয়স হতে হবে।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৭ বছর বয়স হতে হবে।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নাগরিক সনদপত্র।
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে কি কি লাগে
নিচে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে কি কি লাগে তা দেওয়া হলো-
- কমপক্ষে দুই বছরের মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট;
- জাতীয় পরিচয়পত্র;
- BMET Registration Card;
- আবেদনকারীর বয়স ১৮-৪৫;
- মেডিকেল রিপোর্ট;
- করোনা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট;
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স;
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ;
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পূর্বশর্ত ও সতর্কতা
নিচে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পূর্বশর্ত ও সতর্কতা তা দেওয়া হলো-
- আবেদনকারীর বয়স ১৮-৪৫ বছর হতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদনের পূর্বেই বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
- কর্মী নিয়োগদানকারী কোম্পানিতে ভিসার জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে।
- জেলা কর্মসংস্থান অফিস কিংবা Ami Probashi App এর মাধ্যমে Registration করতে হবে।
- সরকারিভাবে মালয়েশিয়া কর্মী প্রেরণের ঘোষণা দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান কিংবা Recruitment এজেন্সির সাথে আগাম লেনদেন করার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
- কোন Agency কিংবা ব্যক্তি বিদেশ প্রেরণের নামে অবৈধ লেনদেনের সাথে যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ এর ৩১ ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার উপায়
বর্তমানে অনেক ট্রাস্টেড কোম্পানি আছে যারা মালয়েশিয়ার ভিসা প্রদান করে।বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক প্রতারণার শিকার হতে হয়। বিশেষ করে যারা দালালের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে চান, দালাল কি টাকা দেয়ার পরে দালাল টাকা মেরে দেয় ভিসা দেয় না অথবা নকল ভিসা ধরিয়ে দেয়। যদি আপনারা কোন দালালের মাধ্যমে ভিসা নিয়ে থাকেন তাহলে ভিসা হাতে পাওয়ার সাথে সাথে অনলাইন থেকে এটি যাচাই করবেন।
আরও পড়ুনঃ nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে দেখার নিয়ম 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আজ মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।