আপনারা অনেকেই নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন তা জানেন না আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। তাই আজ নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
বাংলাদেশের প্রায় ৯৬% মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ আছে। আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার করি, বিদ্যুৎ ছাড়া এক প্রকার অচল বলা চলে। নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন? যাদের ঘরে এখনো বিদ্যুৎ নেই তারা চাইলে অনলাইনে নুতন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এখন পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব করেছে। নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন? প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আবেদন করলে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পারেন।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য।
- আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা।
- একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর।
- পাসপোর্ট – সাইজ এর ছবি.
- সংযোগ ঠিকানা এবং জমি দাবিত্যাগের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
- নিকটতম পরিষেবা পোল থেকে নতুন সংযোগের সঠিক দূরত্ব পরিমাপ করুন।
- লাইট, ফ্যান, ফ্রিজ, টিভি ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের লোডের হিসাব অনুযায়ী সংযোগ ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ আপনি কত বিদ্যুৎ খরচ করবেন তা হিসাব।
- একই ট্রান্সফরমারের অধীনে প্রতিবেশী গ্রাহকদের সংযোগের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং বই নম্বর।
- শেষ বাড়ির ওয়্যারিং সম্পূর্ণ হওয়ার প্রমাণ হিসাবে গ্রাউন্ড রোডের ক্যাশ মেমো।
- আপনি যদি নিজের জমির মালিক না হন তবে উত্তরাধিকার সনদ পত্রের একটি স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে
নিচে মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে দেওয়া হলো-
- আবেদনকারীর নাম ও মোবাইল নম্বর
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও স্থায়ী ঠিকানা
- সংযোগস্থলের ঠিকানা
- সংযোগস্থলের জমির মালিকানা তথ্য, দাগ নং ও খতিয়ান নম্বর
- যে ট্রান্সফরমার হতে সংযোগ নিতে চান একই ট্রান্সফরমারের আওতায় আপনার পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের বই নং ও হিসাব নং
- নিকটবতী সার্ভিস পোল হইতে আপনার বাসার দূরত্ব (ফিট)। প্রয়োজনে মেপে নিন।
- বাসায় ব্যবহৃত লোড (লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ, সকেট) ইত্যাদির সংখ্যা ও ওয়াট
- ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজে জমির মালিক না হলে উত্তরাধীকার সনদ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
- আপনার বাসার হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করার জন্য, গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি বা স্ক্যান কপি
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন করার শর্ত
নিচে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন করার শর্ত দেওয়া হলো-
- আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও সংযোগস্থলের খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব (সংযোগস্থল হইতে সার্ভিস পোলের দুরত্ব) ১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে।
- সঠিক ভাবে মেপে সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব প্রদান করুন। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব সঠিক না হলে তারের দৈর্ঘ্য কম/বেশি পারে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে বিলম্ব হতে পারে।
- আপনার বাসায় মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে এটি এইচটি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে। তাই HT সংযোগের জন্য আবেদন করুন।
- অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (আবেদন ফি, মেম্বারশীপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের ফির অনলাইনে পরিশোধ করার নিয়ম
নিচে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের ফির অনলাইনে পরিশোধ করার নিয়ম দেওয়া হলো-
- পল্লী বিদ্যুৎ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান অথবা অফিসিয়াল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (যেমনঃ পল্লী বিদ্যুৎ মোবাইল অ্যাপ) ডাউনলোড করুন।
- অ্যাপলিকেশনে সাইন ইন করুন বা নতুন একাউন্ট তৈরি করুন। আপনার আবেদনের তথ্য প্রবেশ করান এবং আবেদন প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হোন।
- আবেদন ফরম পূরণ করুন যেখানে আপনার ব্যক্তিগত ও পরিবারের তথ্য, বাসা ও মিটার সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে পারেন।
- মিটার আবেদন ফি প্রদান করার জন্য অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি বেচে নিন। যেমন বিকাশ, রকেট কিংবা অন্য কোন পদ্ধতি।
- ফি পরিশোধ করুন এবং রিসিটটি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন। এটি প্রিন্ট করেও নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ওয়ালটন আইপিএস এর দাম 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আজ নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।