আপনারা অনেকেই নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে তা জানেন না আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। তাই আজ নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র (NID Card) হচ্ছে বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল নাগরিক এর নিজস্ব আইডেন্টিটি। দেশের বৈধ নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? ১৮ বছর পূর্ণ হলেই যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন ভোটার হতে হলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, জন্ম নিবন্ধন, পিতা মাতার এন আইডি কার্ড এর ফটোকপি, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব সনদপত্র, চেয়ারম্যানের থেকে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অঙ্গীকার নামা এবং চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র SIM কার্ড উত্তোলন থেকে শুরু করে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক। পাসপোর্ট তৈরি করা কিংবা ব্যাংক একাউন্ট খোলা সব জায়গায় জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন অপরিসীম। নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এছাড়াও বিশেষ করে চাকরি থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, ব্যাংক একাউন্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইত্যাদি কাঠ তৈরি করতে আপনার NID Card প্রয়োজন হবে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ভোটার আইডি কার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নিচে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে তা দেওয়া হলো-
- ডিজিটাল জর্ম্ম সনদের ফটোকপি।
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- স্বামীর বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি।
- চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব প্রত্যায়ন পত্র।
- শিক্ষিত হলে শিক্ষাগত সনদপত্র।
- শিক্ষাগত সনদপত্রের প্রথম শ্রেণীর সরকারি অফিসার ধারা সত্যায়িত ফটোকপি।
- হাসপাতাল থেকে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে ফটোকপি জমা।
- বিলের কাগজ, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, এগুলোর মধ্যে যে কোন একটি জমা দিতে হবে।
- হোল্ডিং ট্যাক্স এর কাগজের ফটোকপি।
- মেয়র বা চেয়ারম্যান এর অঙ্গীকারনামা।
ভোটার নিবন্ধন করার জন্য কোথায় যেতে হবে?
ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্টার করার পূর্বে আমাদের অন্যান্য ডকুমেন্টসগুলো (শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন সনদ ইত্যাদি) ভালোভাবে চেক করতে হবে। অনেক সময় আমাদের এই সকল ডকুমেন্টগুলোতে তথ্য ভুল থাকে, পরবর্তীতে ওই একই ভুল আমাদের ভোটার আইডি কার্ডে চলে আসে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার পূর্বে এই সকল ডকুমেন্টস গুলো ভালোভাবে চেক করে নিবেন, যদি কোন তথ্য ভুল থাকে তাহলে তথ্যটি সংশোধন করে তারপরে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করবেন।
নতুন ভোটার আবেদন করার শর্ত
নতুন ভোটার আবেদন করার কিছু শর্ত রয়েছে। নিচে তা দেওয়া হলো-
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
- বয়স ১৬ বছর বা তার চেয়ে বেশি হতে হবে
- পূর্বে কখনো নিবন্ধন করেনি
অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন ২০২৩
ভোটার হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এইজন্য আপনি কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন ফরম সম্পন্ন হলে আবেদন কপি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করুন। এখন প্রিন্টকৃত নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন ফরমটি যথাস্থানে ইউপি সদস্য/কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে আপনার স্থানীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা প্রদান করুন। তুন ভোটার হওয়ার আবেদন করতে এন আই ডি এর অফিসিয়াল সাইট ভিজিট করে আবেদন ফরমে আপনার সঠিক নাম, জন্ম তারিখ, ক্যাপচা এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করে সাবমিট করুন।
নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদন এবং কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনা স্কিন বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করার জন্য মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে ডাকা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনা স্ক্যানের দুই সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কোন কাজের বেতন বেশি 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আজ নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।