আপনারা অনেকেই ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় তা জানেন না আবার অনেকেই তা জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ সর্ম্পকিত তথ্য খুঁজে থাকেন। তাই আজ ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় এ সর্ম্পকিত বিষয়গুলো আপনারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে এ সর্ম্পকে বিস্তারিত ধারনা আলোচনা করা করা হলো।
আর্টিকেলের ভিতরে যা থাকছে
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
প্রত্যেকটা মানুষের ভেতরেই ডায়াবেটিস এই রোগটি থাকে। বর্তমানে প্রায় সকলেরই এই রোগটি হয়ে থাকে। ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়? ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অনেকেই ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু শরীরের পক্ষে এত বেশি ওষুধ সেবন করা ঠিক না। ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়? এর জন্য অনেকেই ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায় অনুসন্ধান করে অনলাইনে। সাধারনত ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর মূল উপায় হচ্ছে প্রতি দিন সকালে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটুন ও ব্যায়াম করা। এছাড়াও আরও অনেক উপায় আছে তা নিচে দেওয়া হলো-
- প্রতি বেলার খাবার খেতে হবে সময়মতো।
- কী পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে, এটাও গুরুত্বপূর্ণ। তৈরি খাবার বেশি পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প পরিমাণেও তো খাওয়া যায়। চিকিৎসক বললেন, ভাত না খেয়ে রুটি খেতে। এখন ভারী ভারী ছয়টা রুটি খেলে তো আর কাজ হলো না। বরং উল্টো ফল হবে।
- আঁশযুক্ত গোটা শস্য খাওয়ার প্রবণতা বাড়াতে হবে।। ময়দার রুটি আর মিলে ছাঁটা চালের বদলে লাল আটার রুটি বা ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেলে ভালো। গোল আলু, যতটা পারা যায় কম খেতে হবে। আলু খেতে হলে অবশ্যই তা ভাত বা রুটি ইত্যাদির পরিবর্তে হবে, সবজি বা শাকের বিকল্প হিসেবে নয়।
- অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল খান।
- ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয় পরিহার করুন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করুন।
- বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে পরিবেশিত অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বর্জনীয়।
- নিয়মিত শরীরকে সচল রাখতে হবে। হাঁটা উত্তম উদাহরণ হতে পারে।
- একটানা অধিক সময় বসে কাজ করবেন না। কম্পিউটার ব্যবহার ও কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান। একটু পায়চারি করুন ও গেম খেলা কমিয়ে দিন। টিভি দেখতে দেখতে চিপস খাবেন না। বেশি ক্ষুধার্ত হলে শসা খান।
- ধূমপান বর্জন করুন।
- রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড, রক্তচাপ ও ওজন অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রায় রাখতে হবে। নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন। ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের (এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট) কাছে চিকিৎসা নিন। ওষুধ, ব্যায়াম, খাদ্য গ্রহণ তথা সার্বিক জীবনযাপন–সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট এবং বিজ্ঞানসম্মত উপদেশ (যা শুধু আপনার জন্য প্রযোজ্য) মেনে চলুন।
ডায়াবেটিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না
নিচে ডায়াবেটিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না তা দেওয়া হলো-
- লবণ, চিনি ও চর্বিজাতীয় খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ যতটুকু না খেলেই নয় ততটুকুই খাওয়া।
- কখনও বেশি পরিমাণে খাওয়া খাবেন না।
- যেসব খাদ্য বা কোমল পানিতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে সেসব বর্জন করতে হবে।
- দুধ জাতীয় খাবার খেতে হলে ফ্যাট কমিয়ে খেতে হবে।
- বেশি ভাজা পোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
- সম্পূর্ণভাবে বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং সয়াবিন তেল পরিহার করুন।
ডায়াবেটিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে
রোগ ব্যাধি মানুষের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ। তার মধ্য কিছু রোগ ব্যাধি সহজেই ঠিক হয়ে যায় আবার কিছু রোগের জন্য ডক্টর এর নিকট যেতে হয় , আবার এমন কিছু রোগ আছে যেগুলো একবার আপনার শরীরকে আক্রান্ত করলে সেটা মরনের আগে পর্যন্ত ঠিক হয় না। ডায়াবেটিস ঠিক এমনি একটা রোগ যা হাজার মেডিসিন নিলেও পুরোপূরিভাবে ঠিক হবে না।
তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই রোগ আয়ত্তে রাখা সম্ভব। যেমন যেসব সবজি মাটির ওপরে ফলে সেগুলো ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য অনেকটা নিরাপদ। এর মধ্যে আছে সবুজ শাক-সবজি যেমন: বাঁধাকপি, পালং শাক। এ ছাড়া মটরশুঁটি, বেগুন, মরিচ, মাশরুম, পেঁয়াজ, ছোলা, মসুর ডাল, টম্যাটো, শসা, কচুর লতি, ঢেঁড়স ইত্যাদি খেতে পারেন। এ ছাড়াও ফুলকপি, কাঁচা টম্যাটো, শসা, কাঁচা পেঁপে, খিরা, করলা, ঝিঙা, চিচিঙা, পটোল,চালকুমড়া, ডাঁটা, লাউ, সজনে, মাশরুমও খাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ ইতালিতে বেতন কত 2023
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আজ ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জেনেছেন। এছাড়াও যদি এ সর্ম্পকে কোনোরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে থেকে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা আমাদের জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব এ সর্ম্পকে আপনাদের আরও তথ্য জানাতে।